যে ঘুষ গ্রহণ করবে, যে দেবে দুজনকেই ধরা হবে: প্রধানমন্ত্রী

0 0
Read Time:4 Minute, 27 Second

দুদক কর্মকর্তাদের নিয়ে দুর্নীতির জনশ্রুতি যাতে না ছড়ায় সেজন্য তাদের আরও সচেতন হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকা শীর্ষ পর্যায়ের এক পুলিশ কর্মকর্তার দুদকের এক কর্মকর্তাকে ‘৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার’ দাবি নিয়ে আলোচনার মধ্যে বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ঘুষ যে নেবে, আর যে দেবে দুজনকেই আইনের আওতায় আনার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রথমেই সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রীকে দুদক নিয়ে প্রশ্ন করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ বেগম রওশন আরা মান্নান।

দুর্নীতি দমন নিয়ে করা তার প্রশ্নের মধ্যে ছিল, “কিন্তু এখানে দেয়া যায় যে, দুর্নীতি দমন কমিশন এককভাবে কাজ করিতেছে। তাহাদের নেই তেমন কোনো আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ লোকবল এবং জনবল সংকট তো রহিয়াছেই। ইহা ছাড়া এই সংস্থার মধ্যে অনেকেই দুর্নীতি ব্যাধিতে আক্রান্ত বলিয়া জনশ্রুতি আছে।”

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত জবাব আসার পর সম্পূরক প্রশ্নে রওশন আরা প্রশ্ন থেকে ‘ইহা ছাড়া এই সংস্থার মধ্যে অনেকেই দুর্নীতি ব্যাধিতে আক্রান্ত বলিয়া জনশ্রুতি আছে’ কথাটি বাদ দিতে স্পিকারকে অনুরোধ করেন সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।

দুদককে ‘স্পর্শকাতর’ সংস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটা বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।”

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি মনে করি, যে কথাটা লিখেছেন এটা ঠিকই লেখা আছে। এটা এমন কিছু না। এটা বাদ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

“তার কথার মধ্যে কিন্তু এই জিনিসটা আছে যে জনশ্রুতি আছে। তিনি যে করছেনই এই ধরনের কথাটা কিন্তু নাই। এ কারণে আমার মনে হয়, এ কথাটা বাদ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই।”

শেখ হাসিনা বলেন, “প্রয়োজন নাই এ কারণে যে, এ কথা একেবারে কিন্তু মিথ্যা না। আর সবাইতো একেবারে ধোয়া তুলসি পাতা না। আর এই গ্যারান্টি তো কেউ দিতে পারবে না যে, সবাই একেবারে একশভাগ ধোয়া তুলসি পাতা হবে।”

দুদকের কর্মকর্তা-কর্মীদের আরও সচেতন হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইহা ছাড়া এই সংস্থার মধ্যে অনেকেই দুর্নীতি ব্যাধিতে আক্রান্ত বলিয়া জনশ্রুতি আছে। তো ঠিক আছে, আমি মনে করি এই সংস্থাকে এখন থেকে সচেতন হতে হবে বা যারা কাজ করবে তাদেরও সচেতন হতে হবে যে তারা যেন এমন কিছু না করেন যাতে এই ধরনের জনশ্রুতি সৃষ্টি হয়।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আর এখানে একটা ব্যাপার আছে, দুর্নীতি দমনই বলেন বা যে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই বলেন বা অনেক অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এমন এমন বড় বড় জায়গা আছে যে যেখানে হাত দিলেই মনে হয় যেন হাতটা পুড়ে যাচ্ছে। মানে যারা এই কাজটা করতে যায় তারাই অপরাধী হয়ে যায়। আর কিছু পত্র-পত্রিকাতো আছেই, সাথে সাথে এদের বিরুদ্ধে লেখা শুরু করে।

“আমি নিজে মনে করি, আমাদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকা যে, সঠিক কাজটা করেছেন কি না সেটা দেখে তারপরে বিচার করা। কোন পত্রিকায় কী লিখল বা কে কী বললো সেটাই কান দেওয়ার দরকার নাই।”

 

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %