রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা: জরুরি বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদ

0 0
Read Time:4 Minute, 29 Second

পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দু’টি রুশপন্থি অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে মস্কো। এমনকি স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে সেনা পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেন ইস্যুতে বেশ কয়েকটি দেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি এই বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ করে। এমনকি একটি চিঠির মাধ্যমে ইউক্রেনও তাদের এক প্রতিনিধিকে বৈঠকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে দাবি জানিয়েছে।
যদিও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ইউক্রেন বর্তমানে নেই। অবশ্য এই বৈঠকটি রুদ্ধদ্বার হবে না। জরুরি ভিত্তিতে ডাকা এই বৈঠকটি প্রকাশ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নিরাপত্তা পরিষদের অন্য চার স্থায়ী সদস্য দেশের মতো জাতিসংঘে রাশিয়ারও ভোটো ক্ষমতা রয়েছে। জরুরি এই বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাবনা সামনে আনা হলেও রাশিয়া সেটি আটকাতে ভোটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। আর তাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি এই বৈঠক থেকে ইউক্রেন সংকট নিরসনে কী অর্জিত হতে পারে তা কার্যত নিশ্চিত নয়।

এদিকে আলজাজিরা জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে রুশ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মূলত এই দুই অঞ্চলে ‘শান্তি নিশ্চিত’ করতে রুশ সেনাদের নির্দেশ দেন তিনি।

প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর মস্কো থেকে জারি করা পৃথক দু’টি ডিক্রিতে পূর্ব ইউক্রেনের এই অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিতে কাজ করার জন্য সেনা মোতায়েন করতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন পুতিন।

এদিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শান্তি নিশ্চিতে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে পুতিনের নির্দেশনার পর দোনেতস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম প্রবেশ করতে দেখেছেন তিনি।

এছাড়া দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে ঠিক কী পরিমাণে রুশ সেনা মোতায়েন করা হবে সেটি অবশ্য ওই ডিক্রি বা অন্য কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। তবে মস্কোর সরকারি ডিক্রিতে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের সদ্য স্বাধীন এই অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি তৈরির অধিকার রয়েছে রাশিয়ার।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *