আগামী পাঁচ বছরের জন্য ট্রেনের টিকিট পরিচালনা সংক্রান্ত সহজ জেভি-এর সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে চুক্তি অনুযায়ী, চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে পরবর্তী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে রেলের টিকিট পরিচালনায় ব্যবহৃত সফটওয়্যার হস্তান্তর করার কথা থাকলেও তা যথাযথভাবে হয়নি। গত ২০ মার্চ পর্যন্ত কাজ করে ২১ মার্চ নামে মাত্র একটি সিডি ধরিয়ে দিয়ে কার্য উদ্ধারের চেষ্টা করেছে আগের টিকিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান।
সূত্রমতে জানা যায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পরবর্তী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে গত ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা সল্যুশন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল প্রযুক্তিগত তথ্য বুঝে পরিচালনা শুরু করার কথা থাকলেও, পূর্ববর্তী টিকিট পরিচালনাকারীদের অসহযোগীতায় তা যথাযথভাবে এবং যথাসময়ে হস্তান্তর সম্ভব হয়নি।
এছাড়া এতো কম সময়ে এতো বড় সফটওয়্যার হস্তান্তরের বিষয়টিও বাস্তবসম্মত নয়। ২১ কর্মদিবসের একেবারে শেষে এসে একটি সিডির মাধ্যমে সফটওয়্যার হস্তান্তর হয়েছে, যার সঙ্গে সেই কোনো উপযুক্ত তথ্য কিংবা ডকুমেন্ট। সফটওয়্যার ছাড়াও রেলের টিকিট কাটার মোবাইল অ্যাপের কোনো কিছুই হস্তান্তর করা হয়নি সহজের কাছে।
মূলত, টেন্ডার অনুযায়ী, যেভাবে সবকিছু হস্তান্তর হওয়ার কথা ছিলো তা হয়নি।
তবে দেশের সার্বিক কল্যাণে এবং রেলওয়ে টিকিট পরিচালনার কাজ চলমান রাখতে ওই একই ধরনের সল্যুশন তৈরি করেছে সহজ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রে অংশ নিয়ে গত ১৫ বছরের একটানা কাজ করা একটি কোম্পানিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে সহজ জেভি। আগামী ২৬ মার্চ ২০২২ থেকে এই সহজ জেভি-এর পরিচালনায় দেশের মানুষ বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কাটতে পারবেন অনলাইনে। অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য শিগগিরই নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হবে।
এছাড়া নতুন টেন্ডার অনুযায়ী, ২৬ মার্চ ২০২২ পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে প্রয়োজন স্বাপেক্ষে রেলের টিকিটিংয়ে নতুন ইন্টেগ্রেটেড টিকিটিং সিস্টেম চালু করে তা দিয়ে আরো উন্নত ও সহজ উপায়ে টিকিট পরিচালনা করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।