রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর দ্বিতীয় দফার উদ্যোগও ভেস্তে গেছে। সাক্ষাতকার নেওয়া ২৯৫ পরিবারের কেউই প্রত্যাবাসনে রাজি না হওয়ায় এ প্রক্রিয়া অনেকটা থমকে গেল।
তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রত্যাবাসন কমিশনার।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য গত দুই দিন ধরে চলেই সাক্ষাতকার। মিয়ানমার থেকে পাঠানো ১ হাজার ৭ পরিবারের মধ্যে ২৯৫টি পবিারের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়।
কথা ছিলো সাক্ষাতকার শেষে যারা যেতে রাজি হবে আজ শুধু তাদেরকেই ফেরত পাঠানো হবে। যার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৫টি বাস ও ৩টি ট্রাক। কিন্তু সকাল ১১টার দিকে ত্রাণ ও শরণার্থী কমিশনার টেকনাফের শালবাগান ২৬ নম্বর ক্যাম্পে সাক্ষাতকার কক্ষে আসেন।
এসময় তিনি মিয়ানমার দূতাবাসে একজন এবং চিনা পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২জন কর্মকর্তার সাথে একান্ত বৈঠক করেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান সাক্ষাতকার দেওয়া পরিবারের কেউই মিয়ানমারে ফিরে যেতে সম্মত হয়নি।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজকে হচ্ছে না, আমি বলেছি এই কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এখনো পর্যন্ত যে কাউকে পাব না এমনটি নয়।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য চীন সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আমরাও চাই প্রত্যাবাসন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক।
এদিকে সাক্ষাতকার দিতে আসা রোহিঙ্গারা জানান, পূর্ণাঙ্গ নাগরিক মর্যাদাসহ উত্থাপিত দাবিগুলো মানা না হলে তারা কেউ ফেরত যাবে না। সাক্ষাতকার দেওয়ার সময়ও তাদের দাবিগুলোর কথা জানিয়েছে।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট থেকে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তাদেরকে ফেরত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার সরকার ১ হাজার ৭শ’ পরিবারে ৩ হাজার ৪শ’ ৫০ জনকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল। গত ৩দিন ধরে সে তালিকা যাচাই বাছাই করার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর কথা ছিল।