হেলথডেস্ক:আমি জানিনা কবে আমাদের সমাজ তাদের দেহের ব্যাপারে একটু সচেতন হবে, কবে থেকে খাবারের উপরে শুধুমাত্র ভরসা রাখবে। কারোর একটু সামান্য মাথা ব্যথা হলেই প্যারাসিটামল ঔষধ খায়, মাথা ঘুরালেই মাল্টি-ভিটামিন ট্যাবলেট খেতে চায়, জ্বর আসলেই তিন বেলা ঔষধ খায়, অনেকে আবার কিছু হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ঔষধের ব্যাবহার বাড়িয়ে দেয়, অতিরিক্ত ব্যথা হলেই পেইন কিলার খায়, ঘুম না আসলে ঘুমের ঔষধ খায়, গ্যাস্ট্রিক হলেই ঔষধ খায়, অনেকে শরীরে মাংসপেশি বৃদ্ধির জন্য প্রোটিনের সাপ্লিমেন্ট নেয়, ভিটামিন-ডি এর অভাব হলে মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট খায়। কিন্তু কেউই পথ্য অর্থাৎ খাবারের ডায়েট চার্টের উপর ভরসা করতে চায় না। একজন মানুষ বা রোগীর তার শারীরিক ধরন ও চাহিদা অনুযায়ী যে সঠিক খাদ্য গ্রহণ করলে সে সুস্থ হয়ে যেতে পারে এটি অনেকেই মানতে নারাজ। কেন প্রাকৃতিক খাবার থাকতে আমাদেরকে কথায় কথায় কৃত্রিম খাবারের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে? একজন মানুষের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন হয় আর তা পাওয়া যায় পুষ্টিকর খাবার থেকে। পুষ্টিকর খাবার শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ফল-মূল, লাল আটা ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায়। এসব খাবারের মাধ্যমে দেহ সর্বদা সতেজ ও রোগমুক্ত থাকে। কথায় কথায় অযথা মেডিসিন বা সাপ্লিমেন্ট নিলে দেহে একসময় পার্শপ্রতিক্রিয়াতো হয়ই তার উপর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি থাকে।
রুবাইয়া পারভীন রীতি
অ্যাক্রো মেডিকেল।