শুধু মুড়ি খেয়েই দিন পার করছেন এতিম শিশুরা

0 0
Read Time:4 Minute, 16 Second

বরিশাল নগরীর পলাশপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সড়কের গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শতাধিক এতিম শিশু পানি এবং বিদ্যুই নয় বর্তমানে না খেয়েও জীবন-যাপন করছে।

সমস্যা সম্পর্কে স্থানীয়রা অবগত হলেও তারা কোনো জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চরম হতাশ হয়ে পড়েছে ছাত্র-শিক্ষকরা। এই সমস্যা সমাধানে অনতিবিলম্বে বিদ্যুৎ বিভাগ, সিটি করপোরেশনসহ সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফিরোজী।

জানা গেছে, ১ বছর আগেও একটি ভাড়া বাড়িতে ছিল এই এতিমখানা ও মাদ্রাসাটি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সচিত্র ফিচার প্রকাশিত হলে তা নজরে আসে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর। পরবর্তীতে তিনিসহ মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক এমপি তালুকদার মো. ইউনুসসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সশরীরে উক্ত মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন এবং শতাধিক এতিম ছাত্রের বাস্তব অবস্থা অবলোকন করে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন।

সেই অনুদান দিয়ে জমি ক্রয়, চারতলা ভিত্তির ওপর ১ তলা ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে চলছে প্লাস্টারের কাজ। এ দিকে অনুদানকৃত টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে চরম অর্থ সঙ্কটে ভুগছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তার ওপর মরার ওপর খরার ঘায়ের মতো রয়েছে পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা।

শুধু তাই নয় বর্তমানে অর্থের অভাবে না খেয়ে জীবন-যাপন করছে শতাধিক এতিম শিশু। গত এক সপ্তাহ ধরে মাদ্রাসায় চাল-ডাল না থাকায় দুপুরে মুড়ি খেয়ে বেচেঁ আছে এতিমরা। অন্য দিকে মাদ্রাসার কাজ বন্ধ। মাদ্রাসার পরিচালক টাকার চিন্তায় হতাশ হয়ে পড়ছে। এতিমদের চোখে কাঁন্না ঝড়। চলছে আর্থিক সংকটে এতিমদের জীব।

মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজী সাহেব কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘কষ্টের পরে একটু মাথা জগার ঠাই হয়েছে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ স্যারে কারনে।তবে যে টাকা পেয়েছি তার কাজের পিছনেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু কাজ সব শেষ হয়নি। তার মধ্যে ছাত্রদের খাবার ,বিদ্যু,পানি সংকটের পাশাপাশি খাবার সংটক দেখা দিয়েছে।

ছোট ছোট এতিম শিশুদের দুপুরে ভাতের পরির্বতে খাওয়াতে হচ্ছে মড়ি। কোন মহান ব্যাক্তি মাদ্রাসার এতিম শিশুর খাবার জন্য চাল দান করলে এই সম্যসা দেখতে হতোনা। টাকা জন্য সমাজের বিত্তবানদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়েও হিমসিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষের।’

এতিমখানাটি হওয়ায় সমাজের বিত্তবানদেরও তেমন নজর নেই বলে জানান তারা। প্রতিবছর অনেক এতিম শিশুকে ভর্তি না করেই ফেরত দিতে হয় তাদের। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে এই অসহায় শতাধিক এতিম শিশুর মুখে আনন্দের হাসি ফুটবে বলে দাবি তাদের।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %