বুধবার (৩ জুন) বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুস্তমআলী এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির আসামিরা হলেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোকলেছুর রহমান বাবলু, পাবনা জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম আকতারুজ্জামান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, পৌর যুবদলের সভাপতি মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল, বিএনপি নেতা মাহবুবুল রহমান পলাশ, শামছুল আলম, শহীদুল ইসলাম অটল, রেজাউল করিম শাহীন ও আজিজুর রহমান শাহীন।
মামলায় সরকারপক্ষের আইনজীবী আকতারুজ্জামান মুক্তা বলেন, ‘১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী স্টেশনে যাত্রাবিরতি করেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই ট্রেনে ও তার কামরায় গুলিবর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই সময়ে জিআরপি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাত জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুন করে ঈশ্বরদী বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পরের বছর পুলিশ কোনও সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। কিন্তু আদালত ওই রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করে। পরে সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলা নম্বর এসটি ৪২/৯৭।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এ বছরের ৩০ জুন বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের ৩০ জন নেতাকর্মী আদালতে হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। মঙ্গলবার (২ জুলাই) মামলার আরও দুই আসামি ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান ওরফে বাবলু এবং বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম টেনু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ এ দিন রাতেই মামলার আরেক আসামিকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, এই মামলায় এ পর্যন্ত ৩৩ জন আসামি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন ১৪ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ আসামি।আইনজীবী আখতারুজ্জামান মুক্তা বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত এই মামলায় যারা ফাঁসিসহ বিভিন্ন সাজায় দণ্ডিত হয়েছেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাদের বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।’