জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আমরা সরকারকে বারবার বলেছি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। সরকার আমাদের কথা বিশ্বাস করে না, এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না।
শনিবার (২ এপ্রিল) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে জাতীয় যুব সংহতির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পূর্ব এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিএম কাদের বলেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে ২ কোটি পরিবারকে রেশন কার্ড দিতে হবে। রমজানের শুরুতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষের মাঝে হাহাকার উঠেছে। সরকারি দলের নেতারা বলছেন দ্রব্যমূল্য কমছে এবং মানুষের আয় বেড়েছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য দেখতে বাজারে যেতে হবে না, টিসিবির একটি ট্রাকের কাছে লাইন দেখুন। টিসিবির পণ্য শেষ হয়ে যায় কিন্তু মানুষের লাইন শেষ হয় না। অনেকে সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ঘরে ফিরে যায়। সরকার মানুষের সাথে অবিচার করছে।
তিনি বলেন, টিসিবি দিয়ে এই বাস্তবতা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। ৫ থেকে ৬ কোটি মানুষের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ১কোটি রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি মানুষ নাকি ১ কোটি পরিবারকে রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে তা পরিষ্কার নয়।
দেশের মানুষের জন্য সরকারের দরদ আছে বলে মনে হচ্ছে না। সরকার কাজ করছে তাদের দল ও নেতা-কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় বলে জানান তিনি। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। অথচ, অল্প কিছু টাকা ভর্তুকি দিয়ে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করলে মানুষের কষ্ট দূর হবে। তিনি বলেন, সরকার যদি মানুষের কষ্ট না বোঝে তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। গণমানুষের স্বার্থে আন্দোলন করতে হবে। গণমানুষের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক এইচ এম শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, এড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিুরুল আলম রুবেল, নাজনীন সুলতানা, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি।