‘সামরিক হুমকি সত্ত্বেও পিছু হটবে না তাইওয়ান’

0 0
Read Time:4 Minute, 6 Second

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, তার দেশ বড় ধরনের সামরিক হুমকির মুখে রয়েছে। তবে তাইওয়ান পিছু হটবে না। মঙ্গলবার নিজ কার্যালয় থেকে দেওয়া এক ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সাই ইং-ওয়েন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ তাইওয়ান প্রণালীর নিরাপত্তাকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগের আরেকটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এই দ্বীপের ওপর যেকোনও আগ্রাসন সমগ্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখবো। একইসঙ্গে যৌথভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য আমরা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।’

সাই ইং-ওয়েন বলেন, তাইওয়ান তার আত্মরক্ষার সক্ষমতা জোরদার করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাপ্লাই চেইনের মতো বিষয়গুলোতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও জোরালো করা হবে।

এদিকে বুধবার তাইওয়ানের পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বুধবার সকালে সেখানে দেওয়া এ ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সংসদীয় আদানপ্রদান আরও বাড়াতে চান তিনি।

সকালে পার্লামেন্ট ভবনে পৌঁছালে সেখানে মার্কিন স্পিকারকে স্বাগত জানান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাই খাই চং। পরে সেখানে দেওয়া ভাষণে তাইওয়ানের সমাজব্যবস্থাকে ‘বিশ্বের অন্যতম মুক্ত সমাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ন্যান্সি পেলোসি।

এর আগে তাইওয়ানে পৌঁছে টুইটারে দেওয়া পোস্টে পেলোসি বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে তার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল তাইওয়ানের গতিশীল গণতন্ত্রের প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। টুইটে তিনি বলেন, তাইওয়ানের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে আমেরিকার সংহতি এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ওদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বিবেচনা করা বেইজিং এই সফরের ‘মারাত্মক পরিণতির’ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটি তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়ে পারে। তাদের অবশ্যই এর সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে। চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করার দায় যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই বহন করতে হবে। এর জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *