শোবিজ ডেস্ক:বিশ্ববাসী যখন সবাই করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে গৃহবন্দী। তখন ফ্যাশন ডিজাইনার; স্টাইলিশ ও কোরিওগ্রাফার রাকিব বাবুও হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন। তিনি জানান;আজ কত দিন বাসায় বন্দি জিবন যাপন করছি । মা কে ছাড়া এত লম্বা সময় একা বাসায় কখনো এই ভাবে ছুটি কাটাব এটা ভাবিনি তাও বন্দি বাইরের আকাস দেখিনা কত দিন মন খুলে হাসি । মা আর পরিবার বয়স্ক মানুষের কথা চিন্তা করে আর রাজশাহী যাইনাই।ঢাকায় একা থেকে গেছি। কারণ আমি কোন ঝুঁকি নিতে চাইনি। শুট করেছি; অফিস; মিটিং ; কনফারেন্স সবই করেছি। কতজনের সাথে মিশেছি হিসেব নেই।দেশের বাহিরে বিদেশীদের সাথেও মিটিং ছিল। আর তাই নিজেকে পুরোপুরি আলাদা রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম। এমনকি বাসার কাজের লোক পর্যন্ত ছুটি দিয়ে দিয়েছি। প্রথমে যখন খালাকে বললাম ” খালা কাল থেকে আর আসতে হবে না, খালা অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো আর বললো ঐ বাসার ম্যডামো বললো রাখবোনা, আর যাইতে হইবো না কাল থেকে, আপনিও বিদায় করে দিচ্ছেন, ” বেচারি কেঁদেই ফেললো, আমিও ইমোরশোনাল হয়ে গেলাম, কারন আমি সারাক্ষণ অফিস শ্যুট নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম আর এই মানুষটি পুরো বাসা সামলাতো, এতোদিনে আমার কোনো জিনিস এদিক ওদিক হয়নি, যা বলতাম যেভাবে বলতাম সে করে রাখতো, এমনকি মাঝেমধ্যে বকা দিলেও বোকার মতো হাসতো, পরে আবার সরি বলতাম, বয়স্ক মানুষ হাজার হোক সরি তো বলা উচিৎ, আমি ২ দিন আগেই তার পরিবারের জন্য কিছু বাজার করে দিয়েছিলাম আর বলেছিলাম যখন যা লাগবে আমাকে যেনো জানায়, এখন তো তাকে বিদায় করা ছাড়া উপায় নাই, আমিও অসহায়, কারন গেটে দারওয়ান ছুটা বুয়াদের ঢুকতে দিবেনা, নিরাপত্তার স্বার্থে আমার তা মানতেই হবে, তাই সব দিক বিবেচনা করে বললাম, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাসায় থাকেন, আমি প্রতি মাসে আপনার বেতনের টাকা পাঠিয়ে দিবো, চিন্তার কোনো কারন নাই, বললাম বাসায় থাকবো সব নিজেই করে নিবো কষ্ট হবে না তাই সকলের প্রতি অনুরোধ যার যার অবস্থান থেকে তাদের পাশে থাকুন, আল্লাহ সবার মঙ্গল করবেন . কাজের ব্যাপারে বলেন;পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজে ফিরতে চাই। সব ঠিক থাকলে ভালো কিছু কাজ হাত দিবো।।
স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী রাকিব বাবু; ফের কাজে ফিরতে চান
Read Time:3 Minute, 22 Second