সফরকারী মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে আধিপত্য নিয়ে খেললেও ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতা ও দুর্ভাগ্য মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত ড্র ভাগ্য বরণ করলেন জামাল-ইয়াসিনরা।
মঙ্গলবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়েছে।
মঙ্গোলিয়ানদের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য নিয়ে খেললেও বাংলাদেশের ভাগ্যও সহায় ছিল না। ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেছিলেন রাকিব হোসেন। বক্সের কাছ থেকে তিনি আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান গোলমুখে। মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষকের গ্লাভস থেকে বল ফসকে গেলেও সুমন রেজা পা ছোঁয়াতে পারেননি।
১০তম মিনিটে জামালের কর্নার লাফিয়ে উঠেও হেড করতে পারেননি ইয়াসিন আরাফাত।
মিনিট পাঁচেক পর ইয়াসিন নিখুঁত থ্রু পাস ধরে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বক্সে ঢুকেও ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান ইব্রাহিম। ফলে সহজ সুযোগ হাতছাড়া হয় স্বাগতিকদের।
দারুণ আক্রমণ শানাতে থাকা বাংলাদেশ ফের সুযোগ পায় ৪১তম মিনিটে। কিন্তু এবার ভাগ্য সহায় হয়নি।
সোহেল রানার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের উপর থেকে শট নেন সুমন। বল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জামালের ফ্রি কিকে ইয়াসিনের হেড বুক দিয়ে নামিয়ে নিলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন সুমন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মঙ্গোলিয়া দুইবার বাংলাদেশের রক্ষণে বল চাপালেও বিপদ ডেকে আনতে পারেনি। বাকি সময়টা বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেও মঙ্গোলিয়ার রক্ষণ ভাঙতে পারেনি কাবরেরার দল।
নাবীব নেওয়াজ জীবন, জাফর ইকবাল, রায়হান হাসানরা মাঠে নেমেও পাননি গোল।
৭২ মিনিটে ডান দিক থেকে রিমনের ক্রস মঙ্গোলিয়ার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক বদলে জামালের পা ছুঁয়ে পোস্টের দিকে যাওয়া বল কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষক মুঙ্ক এরদেনে। বাকি সময়ে আর মঙ্গোলিয়ার রক্ষণ ভাঙতে না পারায় হতাশার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে ২০০১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দেখায়ও ড্র করেছিল দুই দল। সেই ম্যাচটি হয়েছিল সৌদি আরবের দাম্মামে। জমজমাট লড়াই শেষে ম্যাচটি ২-২ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল।