বরগুনায় রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।
রিফাত ফরাজী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আদালতে হাজির করে রিফাত ফরাজীর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
বুধবার সকালে বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতারের তথ্য জানান পুলিশের বরিশাল বিভাগের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। এ সময় বরগুনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কোন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারের সুবিধার্থে গ্রেফতারের স্থানটি বলা যাচ্ছে না। পলাতক অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ডিআইজি।
এ নিয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচজন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী (২৩), ৪ নম্বর আসামি চন্দন (২১), ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান (১৯), ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় (২১)। এ ছাড়া রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. নাজমুল হাসান (১৯), তানভীর (২২), মো. সাগর (১৯), কামরুল হাসান সাইমুন (২১) ও রাফিউল ইসলাম রাব্বি