অসুস্থ শিশুকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করার সময় রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকা থেকে কথিত বাবা-মাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকালে শাহবাগ থানা এলাকায় হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে এক দম্পতি ভিক্ষা করছিলেন।
এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশের কর্মকর্তা সুলতানা ইশরাত জাহান। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত।
বিষয়টি দেখে তার মনে খটকা লাগে। কীভাবে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে তার বাবা-মা ভিক্ষা করছে। পরে কথিত বাবাকে পুলিশে দিয়ে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ইশরাত জাহান।
সুলতানা ইশরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমার সন্দেহ হয়। একজন বাবা অসুস্থ শিশুকে নিয়ে কীভাবে সাহায্য চাচ্ছেন। আমি লোকটির কাছে জানতে চাইলে তিনি ঠিক উত্তর না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।’
শিশুটিকে তার কথিত মা জোসনাসহ দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শিশুটির পিঠে পুরাতন পোড়া জখম রয়েছে। সে খুবই অসুস্থ।
ইশরাত জাহান বলেন, ‘শিশুটিকে নিয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করি। প্রথমে শিশুটিকে বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে জেনারেল ওয়ার্ডে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। এখানে প্রথমে ভর্তি না নিতে চাইলেও পরে তারা শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি নেন।
সেখানে নেওয়ার পর ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা শিশুটিকে দেখে জানান, তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে এখানে রাখা যাবে না। তার এই মুহূর্তে আইসিইউ দরকার। সেখানকার চিকিৎসকরা কিছুক্ষণ অক্সিজেন দিয়ে রেখে শিশুটিকে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রেফার করেন। পরে আমি অক্সিজেন লাগিয়ে একটি ভাড়া অ্যাম্বুলেন্সে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালীর ওই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেই।’
শাহবাগ থানার এসআই শফিউল আলম বলেন, শিশুটির কথিত বাবা জহিরুলকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। শিশুটির সঙ্গে থাকা কথিত মা জোসনা বলেছেন, তারা হাইকোর্টে ফুটপাতে থাকে। ভিক্ষা করে।
পুলিশের জেরার মুখে জোসনা জানান, সাত মাস আগে এক নারী তার কাছে শিশুটিকে দিয়ে চলে যায়। সেই থেকে তাদের কাছেই আছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, শিশুটি পুষ্টিহীনতা, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত