হাতীবান্ধায় বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের উপর হামলা থানায় পাল্টাপাল্টী অভিযোগ

0 0
Read Time:4 Minute, 1 Second

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাটর জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকীবাড়ী এলাকায় বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক সহ তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে জাহেদুল ইসলাম গং এর বিরুদ্ধে। দুই পক্ষের ৬ জন আহত,স্থানীয় থানায় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, বুধবার উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ী  এলাকায় নিজ ভোগদখলীয় জমিতে বাঁশঝাড়ের একটি বাঁশ ঝড়বৃষ্টিতে হেলে পড়ে। তখন  নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হকের ভাই মিজানুর রহমান সেই বাঁশটি কেটে ফেলার জন্য রবিউল ইসলাম নামে একজনকে বলেন। রবিউল ইসলাম গত বুধবার সকালে উক্ত বাঁশটি কাটতে গেলে  জাহেদুল ইসলাম গং জমি নিজের মালিকানা দাবী করে, উক্ত বাঁশ কাটতে নিষেধ করে। রবিউল ইসলাম তখন বাঁশ না কেটে পার্শ্বে থাকা ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি বলেন। ইউপি চেয়ারম্যান তাকে সাথে নিয়ে ঐ বাঁশঝাড়ে গিয়ে বিবাদীগণকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন, তারা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে তর্কবিতর্ক শুরু করে এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানকে আক্রমন করেন। এতে ফজলুল হকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মায়ানুর রহমান পলাশ তার ঠিকাদারি কাজের মালামাল ক্রয়ের জন্য মোটরসাইকেল যোগে ভাতিজা আরমান (২৬) সহ রংপুরের উদ্দেশ্যে যাবার সময় বিবাদী জাহেদুল ইসলামের বাড়ির সামনে পৌছামাত্র বিবাদীগণ তাদের পথরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে তাদের দুজনকে মারধোর করে আহত করে। এর এক পর্যায়ে তাদের মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে ব্যাগে রাখা মালামাল ক্রয়ের জন্য তিন লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা বিবাদী নুর মোহাম্মদ (নিরব) জোরপূর্বক বের করে নেয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে ঠিকাদার মায়ানুর রহমান পলাশ ও তার ভাতিজা আরমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় মায়ানুর রহমান পলাশ বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অপরদিকে জাহেদুলের স্ত্রী নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে বুধবার রাতে নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হকসহ ২০ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ক্রয়কৃত ৪ শতক জমির বাঁশ কাটতে এসেছিল ফজলুল হক চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেসহ আমার স্ত্রী সন্তানকে মারধোর করে বাঁশ কেটে নিয়ে যায়।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এবিষয়ে পাল্টাপাল্টি দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *