ভোরে গভীর সাগরে জেলে শুকুর মীরের জালে মাছটি ধরা পড়ে। দুপুরে দুবলার নিউ মার্কেট এলাকায় উন্মুক্ত নিলামে সেটি বিক্রি হয়। খুলনার মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট মাছটি কিনে নেন।
জেলে শুকুর মীর বলেন, ‘এই মাছটা পেয়ে আমাদের খুব উপকার হয়েছে। একবারে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নগদ বিক্রি করেছি। মহাজনও অনেক খুশি হয়েছেন।’
শুধু শুকুর মীরের জালে নয়, এ বছর বেশ কয়েকটি বড় ভোল মাছ ধরা পড়েছে শুটকি পল্লীর জেলেদের জালে। গত ২ মার্চ ৩২ কেজি ওজনের ভোল মাছ ধরা পড়ে। যা ২ লাখ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এ পর্যন্ত ৬টি ভোল মাছ ধরা পড়েছে এবং তা ২২ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মাছ ক্রেতা সম্রাট বলেন, ‘এই মাছ খুবই সুস্বাদু এবং ওষুধি গুণ আছে। এর কারণে এ মাছের দাম অনেক বেশি। এ মাছের পেটের মধ্যে যে বালিশ (প্যাটা) থাকে, তা চড়া দামে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি।’ এই মাছে ভালো লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
ভোল মাছের আরেক ক্রেতা ফারুক বলেন, ‘ভোল, ভেটকি, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন বড় মাছ চড়া দামে ক্রয় করি আমরা। এই মাছের বালিশ (প্যাটা), ফুলকা ও পাখনার চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা এগুলো কিনে বিদেশে পাঠান।’
সুন্দরবন বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর শুটকি পল্লীর ফরেস্ট ক্যাম্পের (ওসি) প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর বেশ কয়েকটি বড় ভোল মাছ ধরা পড়েছে। জেলেরাও এগুলো চড়া দামে বিক্রি করেছেন। বড় মাছ ধরা পড়লে জেলে ও ব্যবসায়ী দুইজনই লাভবান হয়।