আগামী ১৭ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সীমিত পরিসরে দেশে গণপরিবহন চালু হতে পারে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও সবকিছু ঠিক থাকলে এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে গণপরিবহন ঈদের ছুটির সময় চারদিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে ।
এক সাক্ষাৎকারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বাস, ট্রেন, নৌ কর্তৃপক্ষ এখনো অবগত নন। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবিকার তাগিদে ক্রমান্বয়ে সবই চালু করতে হবে ।
গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ৪০ সিটের একটি গাড়িতে ২০টি সিট পূর্ণ হবে, এর বেশি নয়।
অর্থাৎ মানুষকে একটি করে আসন ফাঁকা রেখে বসাতে হবে। এবং গাড়িতে উঠার আগে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে এভাবে নিয়ম মেনে বাস চালাতে আগ্রহী নয় মালিকপক্ষ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জীবন যেমন জরুরি, জীবিকাও দরকার। এ দুটোকে সমন্বয় করতে এর বিকল্প কিছু নেই।
ঈদের চারদিন গণপরিবহন বন্ধের কারণ জানিয়ে বলেন, ঈদ উৎসবে সবাই গ্রামে যেতে চান। ফলে বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে যে যেভাবে পারেন গ্রামের বাড়িতে ছুটেন। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতি ভালো না। মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে, তবুও থাকছেন না। ঈদের সময় গণপরিবহন চালু থাকলে ভিড় বেশি হবে। এতে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। সে কারণে ঈদের সময় চারদিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।